Wednesday, September 25, 2013

বাংলালিংকের থ্রিজি চালু অক্টোবরে

আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই থ্রিজি সেবা চালু করবে দেশের অন্যতম বৃহৎ মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক। বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াদ শাতারা।
ঢাকার পর এ বছরের মধ্যে থ্রিজি সেবা চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের অবশিষ্ট এলাকাগুলোতে এই সেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ভিম্পেল্কম লিমিটেডের ডেপুটি সিইও এবং চিফ অপারেটিং অফিসার ইয়ান এডভার্ড থাইগেসেন, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার শিহাব আহমাদ, মার্কেটিং ডিরেক্টর সোলাইমান আলম ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর জাকিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
priyo.com
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী বলেন, বাংলালিংকের থ্রিজি প্রযুক্তিতে যেতে পুরনো গ্রাহকদের নতুন করে থ্রিজি সিম কিনতে হবে না।
থ্রিজি সেবার জন্য বাংলালিংক ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে উল্লেখ করেন প্রধান নির্বাহী।
তিনি বলেন, এ মাসেই আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ২৮ মিলিয়নে পৌঁছেছে। এটি ইতিবাচক দিক।
জিয়াদ শাতারা বলেন, উন্নত সেবায় আমাদের গ্রাহকদের প্রতি আমরা এখন আরো বেশি অঙ্গীকারাবদ্ধ। গ্রাহকদের নিয়মিত চাহিদা পূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি। এরই মধ্যে আমরা আমাদের নেটওয়ার্ককে আরো শক্তিশালী এবং থ্রিজি সমমানের করার জন্য বড় বিনিয়োগ করেছি।
গত ৮ সেপ্টেম্বর থ্রিজি নিলামে ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনে নেয় বাংলালিংক। বাংলালিংক ছাড়াও গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ, রবি ও এয়ারটেল ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম কিনে নেয়।
ভিম্পেল্কম লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক । বিশ্বের ৬ষ্ঠ বৃহৎ টেলিকম প্রতিষ্ঠান এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার বহু দেশে তাদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা দিচ্ছে।

Thursday, September 12, 2013

আজ থ্রিজির লাইসেন্স হাতে পেয়েছে দেশের তিন বেসরকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও এয়ারটেল। ৮ সেপ্টেম্বর থ্রিজির নিলামে অংশ নিয়েছিল গ্রামীণফোন, রবি ও এয়ারটেল ও বাংলালিংক। আজ বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস তিন মোবাইল অপারেটরের কাছে থ্রিজি লাইসেন্স হস্তান্তর করেছেন।

লাইসেন্স হস্তান্তরের সময় মোবাইল অপারেটরদের উদ্দেশ্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান সাশ্রয়ী দামে থ্রিজির ডেটা প্যাকেজ দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত থ্রিজি তরঙ্গের নিলামে অংশ নিয়ে গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ এবং বাংলা লিংক, রবি ও এয়ারটেল পাঁচ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ কেনে।

প্রতি মেগাহার্টজ ২ কোটি ১০ লাখ ডলার দরে অর্থের ৬০ শতাংশ বিটিআরসিতে জমা দিয়েছে তিন অপারেটর। অবশ্য বাংলালিংক এখনো তাদের নির্ধারিত অর্থ বিটিআরসির কাছে জমা দেয়নি। ২৩ অক্টোবর অর্থ পরিশোধের শেষ দিন। নয় মাসের মধ্যে দেশের সব বিভাগীয় শহরে থ্রিজি সেবা নিশ্চিত করার শর্ত বেঁধে দিয়েছে বিটিআরসি।  এ শর্ত না মানলে অপারেটরদেরকে  ৫০ কোটি টাকা জ

Sunday, September 8, 2013

থ্রিজি বরাদ্দ পেল গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল

টেলিটকের পর এবার থ্রিজি আনছে গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল। সর্বোচ্চ ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পেয়েছে গ্রামীণফোন। আর ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ পয়েছে রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক।
আজ রোববার বেলা ১১টায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে শুরু হয় থ্রিজি নিলাম। নিলামের প্রথম ধাপে ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দ পায় গ্রামীণফোন। দ্বিতীয় ধাপে ৫ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ বরাদ্দ পয়েছে রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বরাদ্দের জন্য এ নিলাম ডেকেছে। নিলামে ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বিক্রি হলেও এখন ১৫ মেগাহার্টজ অবিক্রীত রয়েছে।
নিলামে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল অংশ নেয়। সিটিসেল নিলামে অংশ নেয়নি।
টেলিটক ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে। টেলিটক এই নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে ওঠা দাম তাদের পরিশোধ করতে হবে।
নীতিমালা অনুযায়ী, থ্রিজির সঙ্গে ফোরজি ও এলটিই নেটওয়ার্ক সার্ভিস দিতে পারবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। ১৫ বছরের জন্য হবে এই লাইসেন্স। প্রতি পাঁচ বছর পর এটি নবায়নের সুযোগ থাকবে।

থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দের নিলামে অংশ নিতে অপারেটরগুলোর আবেদনের শেষ দিন ছিল ১২ আগস্ট।

থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দের লাইসেন্স মাসুল ১৫ শতাংশ থেকে দুই দফায় কমিয়ে ৫ শতাংশ করে বিটিআরসি। এ ছাড়া বিটিআরসির সঙ্গে রাজস্ব আয় ভাগাভাগির (রেভিনিউ শেয়ারিং) ওপর নির্ধারিত ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) প্রত্যাহার করা হয়। এ বিষয়গুলো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো থ্রিজি নিলামে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে আসছিল।

গত ১৮ আগস্ট বিটিআরসি আবেদনকারীদের তালিকা প্রকাশ করে। আর নিলাম-প্রক্রিয়া নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে অপারেটরগুলোর পরামর্শের দিন ছিল ১৯ আগস্ট। আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা জামানত (আর্নেস্টমানি) জমা দেয় ২৬ আগস্ট।

Saturday, September 7, 2013

আগামীকাল বাংলাদেশে উন্মুক্ত হচ্ছে থ্রিজি

আগামীকাল রোববার নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশে উন্মুক্ত হচ্ছে বহু প্রত্যাশিত তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) মোবাইলফোন সার্ভিস। যদিও গত বছরের অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলক থ্রিজি সেবা দিচ্ছে একমাত্র রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই নিলাম অনুষ্ঠিত হবে রোববার। এই নিলামে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকার স্পেকট্রাম বরাদ্দ দেয়া হবে চারটি মোবাইলফোন অপারেটরকে।

তবে অপারেটররা বেশি স্পেকট্রাম নিলে টাকার অংক ছয় হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। আর টেলিটককে ইতিমধ্যে যে স্পেকট্রাম দেয়া হয়েছে, তার দাম ভ্যাটসহ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।
3G

টেলিটক এই নিলামে অংশ না নিলেও নিলামে ওঠা দাম তাদের পরিশোধ করতে হবে। হোটেল রূপসী বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে উন্মুক্ত এই নিলাম। এতে অংশ নেবে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল।

গত পাঁচ বছর ধরে থ্রিজি-র নিলাম করার চেষ্টা করে আসছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ২০০৮ সালে গাইডলাইন তৈরির পর ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে এই নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু তা পেছাতে পেছাতে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এসে ঠেকেছে। তারপরও থ্রিজি উন্মুক্ত হওয়ায় খুশি মোবাইলফোন অপারেটর ও গ্রাহকরা। থ্রিজিতে সবচেয়ে বেশি সুবিধা মিলবে ইন্টারনেট সেবায়। গতি বাড়বে কয়েকগুণ।

আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ইতিমধ্যে থ্রিজি সার্ভিস শুরু হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী থ্রিজির সঙ্গে ফোরজি ও এলটিই সার্ভিস দিতে পারবে মোবাইলফোন অপারেটররা। তার জন্য এখনই তাদের স্পেকট্রাম নিতে হবে। কারণ ফোরজি ও এলটিই-র জন্য নতুন করে স্পেকট্রাম বরাদ্দ দেবে না বিটিআরসি।

একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটকসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে থ্রিজির লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। কিন্তু কোনো বিদেশী প্রতিষ্ঠান আসতে আগ্রহ না দেখানোয় গাইডলাইন সংশোধন করে।

সেই জায়গায় বর্তমানে বাংলাদেশে সেবা দেয়া অপর একটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে রাষ্ট্রীয় অপারেটর টেলিটকসহ ছয়টি অপারেটর সেবা দিচ্ছে।

এরমধ্যে এখন লাইসেন্স পাচ্ছে পাঁচটি প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র সিটিসেল থ্রিজির লাইসেন্স পাচ্ছে না। তারা নিলামে অংশ নিতে আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত জামানতের টাকা জমা দেয়নি। ফলে নিলামে তারা অংশ নিতে পারছে না।

থ্রিজির এই নিলামে অংশ নিচ্ছে চারটি মোবাইলফোন অপারেটর। প্রত্যেকেই লাইসেন্স পাবে। তাহলে নিলাম কার্যত আনুষ্ঠানিকতা কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস বলেন, নিলামে প্রতিযোগিতা হবে।

কারণ অপারেটরদের ফোরজি ও এলটিই-র জন্য এখনই স্পেকট্রাম নিতে হবে। হাতে আছে মাত্র ৪০ মেগাহার্টস স্পেকট্রাম। এখন না নিলে নতুন করে আর তাদের স্পেকট্রাম দেয়া হবে না। তাছাড়া নিলামে অপারেটরদের অন্তত একটি ডাক দিতেই হবে।

তাতে প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম ২০ মিলিয়ন ডলারের সঙ্গে অন্তত এক মিলিয়ন ডলার যোগ হবে। কারণ এক মিলিয়নের কম ডাকার কোনো সুযোগ নেই।

বিটিআরসি চেয়ারম্যানের মতে, গাইডলাইন অনুযায়ী সর্বনিম্ন দাম প্রতি মেগাহার্টজ ২০ মিলিয়ন বা দুই কোটি ডলার ধরা হয়েছে তা একেবারে কম নয়। তাই নিলাম সফল হবে বলেই মনে করেন তিনি।

থ্রিজির নীতিমালা অনুযায়ী নিলামে অংশ নিতে প্রতি মেগাহার্টজ স্পেকট্রামের (তরঙ্গ) ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন মূল্য) নির্ধারণ করা হয়েছে দুই কোটি মার্কিন ডলার। আবেদনপত্র ফি পাঁচ লাখ টাকা।

লাইসেন্স নিতে ১০ কোটি টাকা, আর বার্ষিক লাইসেন্স ফি পাঁচ কোটি টাকা। নিলামে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানকে মোট তরঙ্গ ফি-র ৬০ শতাংশ ৩০ কার্যদিবস ও ৪০ শতাংশ পরবর্তী ১৮০ কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে হবে।

১৫ বছরের জন্য দেয়া হবে এই লাইসেন্স। পরবর্তী সময়ে প্রতি পাঁচ বছরের জন্য নবায়নের সুযোগ থাকবে। আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বিটিআরসিকে জমা দিতে হবে। সোশাল অবলিগেশন ফি ধরা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের নিরীক্ষিত মোট আয়ের এক শতাংশ।

জানা গেছে, থ্রিজি সার্ভিসের জন্য প্রত্যেক অপারেটরকে কমপক্ষে ৫ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিতে হবে। কেউ চাইলে বেশিও নিতে পারেন। ইতিমধ্যে টেলিটককে থ্রিজির জন্য ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এখনো বিটিআরসির হাতে রয়েছে ৪০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম। এক ডাকেও যদি অপারেটররা স্পেকট্রাম পান, তাহলে প্রতি মেগাহার্টজের দাম হবে ২১ মিলিয়ন বা দুই কোটি ১০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশী টাকায় ১৬৮ কোটি (এক ডলার ৮০ টাকা হিসেবে) টাকা। ৪০ মেগাহার্টস স্পেকট্রামই যদি অপারেটররা নিয়ে নেয় তাহলে এই হিসেবে বিটিআরসি পাবে ৬ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে।

এই দামে টেলিটককেও দিতে হবে ভ্যাট ছাড়া এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা।

এর আগে গত ২৯ আগস্ট জামানত হিসেবে চারটি মোবাইলফোন অপারেটর ৬২২ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। সব মিলিয়ে রোববার সাত থেকে আট হাজার কোটি টাকার নিলাম অনুষ্ঠিত হবে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নিলাম।